ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হেমেন্দ্রনাথ সাহার পরলোকগমন যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত রাণীশংকৈলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ই ডিসেম্বর পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবসে বগুড়ার গাবতলীতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পুস্পস্তবক অর্পণ রবিবার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন ডিগ্রি পাচ্ছেন পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রাণীনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বিস্ফোরক আইনে সাবেক মেয়র ও যুবলীগ নেতা আলমগীর সরকার গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে: জামায়াত আমির জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল, বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা গোদাগাড়ী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় পাতার বিড়ি জব্দ রাজশাহী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৭,৭৫০ পিস ভারতীয় কার্বন ফিল্ম রেজিস্টেন্স জব্দ বিএমডিএর সঙ্গে ওয়ারপোর মতবিনিময় সভা বিজয়োল্লাসে মুখরিত রাজশাহী: তোপধ্বনি, কুচকাওয়াজ ও আলোচনা সভার মাধ্যমে পালিত হলো মহান বিজয় দিবস রাজশাহীতে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জামায়াতের যুব ম্যারাথনে লাখো নেতাকর্মীর ঢল শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে কুমিল্লায় আটক ৫ সহজ অভ্যাসেই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমানো যায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে কেমন হবে রোজের খাওয়াদাওয়া স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

স্বাদে অনন্য বকফুলের বড়া

  • আপলোড সময় : ১০-১২-২০২৫ ০১:১৭:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১২-২০২৫ ০১:১৭:১৬ অপরাহ্ন
স্বাদে অনন্য বকফুলের বড়া স্বাদে অনন্য বকফুলের বড়া
লম্বা একটা বাঁশ দিয়ে গাছ থেকে ফুল পাড়ছিলেন অসীম সাহা। আর সেগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছিল ছোট্ট শিশু অবন্তী। ফুলগুলো দিয়ে বড়া খাবে। তাই বাবার সঙ্গে এসেছে । ফুলটার নাম বকফুল।  সবজি হিসেবে জনপ্রিয় এই ফুল অনেকেই ভেজে খান। মিষ্টিকুমড়ার ফুলের বড়ার মতোই এর বড়া বেশ সুস্বাদু।

 গ্রামবাংলার পরিচিত গাছ বকফুল এখন আর আগের মতো সহজে দেখা যায় না। দ্রুত নগরায়ণ ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে এই গাছ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামে ফুলসহ  বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল। 

গ্রামের বাসিন্দা অসীম সাহা জানালেন, বছর দেড়েক আগে তিনি একই গ্রামের হেমেন্দ্রনাথ সাহার কাছ থেকে একটি চারা এনে বাড়ির পিছনে লাগিয়েছেন। একবছরের মধ্যেই গাছে ফুল ধরা শুরু করেছে। নিজেরা এই ফুলের বড়া খান। পাড়া প্রতিবেশীরাও এসে নিয়ে যায়।

হেমেন্দ্রনাথ সাহা জানালেন, তাঁর বাড়ির উঠানে এই গাছ ছিল। গাছটা বেশ বড় ছিল। ভাবিচা গ্রামসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে লোক আসতো এই ফুল নিতে। ফুলের কিছু বীজ সংরক্ষণ করে  রেখে দিয়েছিলেন। সেই বীজ অনেককে দিয়েছেন। 

গ্রামের পবিত্র প্রামানিকের বাড়িতেই এই বকফুল গাছের দেখা পাওয়া গেল।

গৃহবধূ বেবি রানী জানালেন, অ্যাংকার ডাল বা খেসারি ডাল বেটে এই ফুল দিয়ে বড়া করলে বেশ সুস্বাদু হয়। বেসন দিয়ে করলেও ভালো লাগে। 
আমরা মাঝেমধ্যেই এই বকফুল এনে বড়া করে খাই। 

পরিবেশবিদ মোকারম হোসেনের লেখা 'ফুল' নামক বইয়ে লেখা আছে, আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরোনো। গাছ ছোটখাটো ধরনের, দ্রুত বর্ধনশীল। ফুলের গড়ন অনেকটা শিম ফুলের মতো। সাদা, গোলাপি ও লাল রঙের হয়। মাঝখান থেকে বাঁকানো, অনেকটা পাখির ঠোঁটের মতো। বীজ থেকে সহজেই চারা হয়।

বছরে একবার পাতা ঝরায়। বেশি দিন বাঁচে না।পাতা চিরল চিরল, অনেকটা শিরীষপাতার মতো। শরৎ-হেমন্তে সারা গাছে দুই থেকে চারটি ফুলের থোকা ঝুলে থাকে।। অবশ্য বছরের অন্যান্য সময়েও দু-চারটি ফুল ফুটতে পারে। 
এক বছরেই এই গাছে ফুল ও ফল আসে। গাছ তেমন কোনো কাজে লাগে না। তবে বাকল ও শিকড় ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। এ ফুলের তৈরি ভাজি ও বড়া খেতে সুস্বাদু।

বকফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Sesbania grandiflora। পরিবার Fabaceae। জন্মস্থান মালয়েশিয়া।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত